তন্ময় দেব
ঝড় এলে আমরা কোথায় যাবো, প্রভু?
সন্তানদেরই বা খাওয়াবো কি?
খেত ভরা ধান ডুবে গেছে জলে।
ভাতের হাঁড়ি ভেসে গেছে ভোরবেলায়।
ভেঙে পড়েছে খিদের বাঁধ।
প্রভু, আমাদের কি হবে?
ইস্কুলবাড়িতে ঠাই খুঁজতে গিয়ে ছেড়ে
এসেছি ভিটেমাটি। কে জানে কেমন আছে
ফলনের কাঁঠাল গাছগুলো। গোয়ালের গরুদের
দড়ি কেটে চোখের জলে মুক্ত করে দিয়েছি রাতেই
কিন্তু আমরা মুক্তি পেলাম কই?
করোনায় কাজ বন্ধ। রেশনের চাল ডালে সামলে
রেখেছি পেট। সেদিন বাচ্চাটা একটুকরো মাংস
খাবে বলে গোঁ ধরেছিল। তুলতে চাইছিল না মুখে
মোটা ভাত। এক থাপ্পড়ে চুপ করিয়ে দিয়েছি কিন্তু
পাঁচ আঙুলের ছাপ কি আমার নিজের শুকনো গালে
এসে পড়েনি?
প্রভু, শ্বাসের অভাবে বিশ্বাসের বাতি নিভে যায়।
লন্ঠন হাতে দাঁড়িয়ে থাকি জীবন সায়াহ্নে। যমদুয়ারের
ঠিকানা কি আপনি জানেন? কোন বাসে চেপে যাওয়া
যায় সেই অন্ধকার পুরীতে?
অবশ্য এসব জিজ্ঞেস করেও লাভ কি। মরতে গেলেও
যেটুকু টাকাপয়সা লাগে তা ভেসে গেছে জলে।
এবার লাশ হয়ে আমিও ভেসে যাবো। বেঁচে থাকতে কেউ
চেনেনি, মরে গিয়ে টিভিতে উঠবো। নগণ্য এই জীবনে
আর কি চাওয়ার থাকতে পারে
প্রভু, বুঝে গেছি আমাদের কি হবে। তাই বাচ্চাটার হাত ধরে
নদীর পাড় ভাঙার অপেক্ষা করছি প্রবল ঝড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে
তৌবা তৌবা তৌবা 😮😮
উত্তরমুছুনতৌবা তৌবা তৌবা 😮😮
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন